সোমবার, ১৩ জুন, ২০১৬

আমার জন্মভুমি





আমার জীবনের ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনা ।

১৯৭৩ নিয়ে এলো এক পরিবর্তন । সবে মাত্র উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছি । হঠাৎ একদিন বাবা মারা গেলেন । জীবিকার সন্ধানে  মিথিলা এসে নুরপুরের পাঠান দের গোমাস্তা হিসাবে বসবাস শুরু করেন । পরবর্তী কালে তাদের জমিদারী দেখা শুনা করার প্রয়োজনে ভজগবিন্দ ঝা । তার দুই ছেলে আর তিন মেয়ে । সুরেন্দ্রনাথ, দয়ানাথ , অহল্যা , কৌশল্যা ,সরলা কে নিয়ে স্থায়ী ভাবে বসবাস করার সিদ্ধান্ত নেন মুসলমান ও গোয়ালা অধ্যুষিত এই গ্রাম কে কারন এখানকার মানুষের আন্তরিকতা ও শ্রদ্ধা বোধ তাদের আকৃষ্ট করেছিল । এক মাত্র ব্রান্মন পরিবার তাদের সাথে একাত্ম বসবাস করত । সুরেন্দ্রনাথ ও দয়ানাথ  পরিবার নিয়ে খুব আনন্দে এখানে ছিলেন । 
আমি তখন বামপন্থী ছাত্র আন্দোলনের মধ্য ছয়ের দশকের ছাত্র আন্দোলনের ধারা বয়ে কমিউনিস্ট পার্টি { মার্ক বাদী } যুক্ত হয়ে এই গ্রামের  মানুষের সুখে দুঃখে পাশে থেকেছি । সম্পন্ন পরিবারের সন্তান হিসাবে সন্মান ছিল । কিন্তু আমার বাবা সুরেন্দ্রনাথ ঝা এর মৃত্যুর পর এক প্রকার বাধ্য হয়ে আমার প্রিয় জন্মভুমি জাননগর ত্যাগ করেছিলাম । বাবা মারা যাবার পর জীবিকার প্রয়োজনে আর জনগনতান্ত্রিক বিপ্লবের স্বপ্নে বিভোর শ্রমিক শ্রেণীর দুর্গাপুর কে কর্মক্ষেত্র হিসাবে বেছে নিয়েছিলাম । আর ফেলে এসে ছিলাম এক একর জায়গায় ফুলে ফলে সাজানো বাগান । আর ছিল বিরাট টিনের বাড়ি যেখানে আমার ছোট বেলা কেটেছে । আর প্রচুর পেতল তামা বাসন প্ত্র ও গয়না পত্র । আর এই সব আত্মসাৎ করেছে কয়েক  জন কু চক্রী ্তার জমি জায়গা খুব সু কৌশলে হস্তগত করে আমার অজান্তে । তার আমার অনুপস্থিতি তে আমার অংশ টি দখল করে বসে আছে । 
কেন ঘটল এমন ঘটনা ? আমার মায়ের অজ্ঞতা অশিক্ষা ও স্বৈরাচারী মনোভাব তাকে পথে বসিয়ে ছিল । তার জন্য আমাদের সুন্দর পরিবার শেষ হয়ে গেছে । কু সঙ্গ ও কু পরামর্শ বিপথে পরিচালিত  করে তার সাথে আমার নষ্ট করে দেয় যাতে আমার অবর্তমানে তার সব হাতিয়ে নিতে পারে ।
কি ব্যাখ্যা দেব আমার গ্রামের এক ব্যক্তি স্বার্থে আমার বাস্তু জমি দখল করে বসে আছে কোথায় আজ সেই সামাজিক একাত্মতা  যেখানে গোটা গ্রামের মানুষ একই  পরিবারের সদস্য মনে করত ।সেই গ্রামে জীবনের শেষ প্রান্তে এসে বুঝতে পারছি অনিল ঘোষের কু চক্রী ভুমি দস্যু রা আজও সমাজে আছে । যারা ছলে বলে কৌশলে লোকের জমি ও সম্পত্তি আত্মসাৎ করে ।

আমি আজকের উপেন ।।