সোমবার, ২৮ নভেম্বর, ২০১৬
সোমবার, ২২ আগস্ট, ২০১৬
আমার অতীত আমার বর্তমান
আমার জীবনের অতীত এক মর্মান্তিক সব অভিজ্ঞতা নিয়ে এসেছে যা আমি ভাবতে পারছিনা । আমি এই টুকু বলতে পারি , আমার ছোট বেলা , আমার যৌবন , আমার কর্ম জীবন আর আমার অবসর জীবন নিয়ে ঘটনার পর ঘটনা সাজিয়ে লিখব ।
ব্যক্তিগত পারিবারিক বিপর্যয় , বাবার মৃত্যু , কর্ম সংস্থানের জন্য বাইরে চলে যাওয়া আর মায়ের মৃত্যু পর আমার পৈতৃক বাসভুমি দখল করে এক জমি মাফিয়া অনিল ঘোষ জাননগর গ্রামে ।
এই সেই আমার পুন্য জন্মভুমি , জাননগর রতুয়া মালদহ
যাকে আমি মা থেকে বেশি ভাল বাসি
এই ছবি গুলি আমার ভাবনায় ঘোরা ফেরা করছে , এদের চিন্তা ভাবনা আমার জীবনে প্রতিফলন ঘটেছে ।
বৃহস্পতিবার, ২৩ জুন, ২০১৬
সোমবার, ১৩ জুন, ২০১৬
আমার জন্মভুমি
আমার জীবনের ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনা ।
১৯৭৩ নিয়ে এলো এক পরিবর্তন । সবে মাত্র উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছি । হঠাৎ একদিন বাবা মারা গেলেন । জীবিকার সন্ধানে মিথিলা এসে নুরপুরের পাঠান দের গোমাস্তা হিসাবে বসবাস শুরু করেন । পরবর্তী কালে তাদের জমিদারী দেখা শুনা করার প্রয়োজনে ভজগবিন্দ ঝা । তার দুই ছেলে আর তিন মেয়ে । সুরেন্দ্রনাথ, দয়ানাথ , অহল্যা , কৌশল্যা ,সরলা কে নিয়ে স্থায়ী ভাবে বসবাস করার সিদ্ধান্ত নেন মুসলমান ও গোয়ালা অধ্যুষিত এই গ্রাম কে কারন এখানকার মানুষের আন্তরিকতা ও শ্রদ্ধা বোধ তাদের আকৃষ্ট করেছিল । এক মাত্র ব্রান্মন পরিবার তাদের সাথে একাত্ম বসবাস করত । সুরেন্দ্রনাথ ও দয়ানাথ পরিবার নিয়ে খুব আনন্দে এখানে ছিলেন ।
আমি তখন বামপন্থী ছাত্র আন্দোলনের মধ্য ছয়ের দশকের ছাত্র আন্দোলনের ধারা বয়ে কমিউনিস্ট পার্টি { মার্ক বাদী } যুক্ত হয়ে এই গ্রামের মানুষের সুখে দুঃখে পাশে থেকেছি । সম্পন্ন পরিবারের সন্তান হিসাবে সন্মান ছিল । কিন্তু আমার বাবা সুরেন্দ্রনাথ ঝা এর মৃত্যুর পর এক প্রকার বাধ্য হয়ে আমার প্রিয় জন্মভুমি জাননগর ত্যাগ করেছিলাম । বাবা মারা যাবার পর জীবিকার প্রয়োজনে আর জনগনতান্ত্রিক বিপ্লবের স্বপ্নে বিভোর শ্রমিক শ্রেণীর দুর্গাপুর কে কর্মক্ষেত্র হিসাবে বেছে নিয়েছিলাম । আর ফেলে এসে ছিলাম এক একর জায়গায় ফুলে ফলে সাজানো বাগান । আর ছিল বিরাট টিনের বাড়ি যেখানে আমার ছোট বেলা কেটেছে । আর প্রচুর পেতল তামা বাসন প্ত্র ও গয়না পত্র । আর এই সব আত্মসাৎ করেছে কয়েক জন কু চক্রী ্তার জমি জায়গা খুব সু কৌশলে হস্তগত করে আমার অজান্তে । তার আমার অনুপস্থিতি তে আমার অংশ টি দখল করে বসে আছে ।
কেন ঘটল এমন ঘটনা ? আমার মায়ের অজ্ঞতা অশিক্ষা ও স্বৈরাচারী মনোভাব তাকে পথে বসিয়ে ছিল । তার জন্য আমাদের সুন্দর পরিবার শেষ হয়ে গেছে । কু সঙ্গ ও কু পরামর্শ বিপথে পরিচালিত করে তার সাথে আমার নষ্ট করে দেয় যাতে আমার অবর্তমানে তার সব হাতিয়ে নিতে পারে ।
কি ব্যাখ্যা দেব আমার গ্রামের এক ব্যক্তি স্বার্থে আমার বাস্তু জমি দখল করে বসে আছে কোথায় আজ সেই সামাজিক একাত্মতা যেখানে গোটা গ্রামের মানুষ একই পরিবারের সদস্য মনে করত ।সেই গ্রামে জীবনের শেষ প্রান্তে এসে বুঝতে পারছি অনিল ঘোষের কু চক্রী ভুমি দস্যু রা আজও সমাজে আছে । যারা ছলে বলে কৌশলে লোকের জমি ও সম্পত্তি আত্মসাৎ করে ।
আমি আজকের উপেন ।।
শুক্রবার, ২০ মে, ২০১৬
আমি আজকের উপেন
বাংলার রাজনীতি ও আমার জীবনের
কিছু কথা ঃ
========================================================================
মালদহ জেলার রতুয়ার জাননগর গ্রামে আমার জন্ম । আমার বাবা সম্পন্ন মৈথিল ব্রাম্ভন পরিবার । যাদের জাননগর ও ভালুয়ারা মৌজায় প্রচুর জমি জমা ছিল । ১৯৬৬ সালে ছাত্র আন্দোলনের মধ্য দিয়ে কমিউনিস্ট পার্টি { মার্ক্সবাদী } প্রতি আকৃষ্ট হলাম । নিজে কে সাচ্চা কমিউনিস্ট হিসাবে নিজেকে গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখতে থাকি । বিভিন্ন ছাত্র, যুব , শ্রমিক আন্দোলনের কর্মী হিসাবে বিভিন্ন সময় কাজ করেছি আর আমার প্রেরনার উৎস জেলার তৎকালীন কমিউনিস্ট নেতা মানিক ঝা ।
১৯৭২ সালে আধা ফ্যাসিবাদী সন্ত্রাস দিন গুলি আমি দুর্গাপুরে চলে আসি । দেশের বাড়ি তে পরে রইল
আমার মা আর জন্মভুমি । ঠিকা শ্রমিক , যুব , আর শ্রমিক আন্দোলনের মধ্য দেশে সমাজ তন্ত্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্নে বিভোর দেশের জমি জায়গায় নজর না দেবার ফলে আমার মায়ের অশিক্ষা ও চক্রান্ত করে তার কাছ থেকে সমস্ত জমি লিখিয়ে নেয় । আর বাকি আমার অংশ জোর করে দখল করে নিয়েছ । অন্য দিকে পার্টিতে একটা বড় অংশ আস্তে আস্তে দুর্নীতি তে জড়িয়ে পড়ছে , প্রতিবাদ করলে খারাপ হয়ে যাচ্ছি । কিন্তু আমি জানি এক কমিউনিস্ট কে চারটি সংগ্রাম চালাতে হয় ।
১ নিজের সঙ্গে সংগ্রাম
২ পরিবেশের সঙ্গে সংগ্রাম
৩ দলের মধ্যে সংগ্রাম
৪ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সংগ্রাম
এই সংগ্রাম একজন কমিউনিস্ট কে সাচ্চা করে তুলতে পারে । কমিউনিস্ট বিপ্লব পরিচালনা করতে চাই সুশৃঙ্খল কর্মী বাহিনী , চাই স্বার্থ ত্যাগী কর্মী , এই কাজ করতে ব্যর্থ হয়েছে । বরং সংসদীয় পথের চোরা গলিতে পথ হারিয়ে ফেলেছে এদেশের কমিউনিস্টরা । এখান থেকে বেড়িয়ে আসা তাদের পক্ষে অসম্ভব নয় । পূর্ব ইউরোপ বা রাশিয়ার পতনের পর ভাবতে শুরু করলাম আর বিভিন্ন মতাদর্শ গত আলোচনা মধ্য দিয়ে বুঝে নেবার চেষ্টা করেছি । আমার শেষ সিদ্ধান্ত জাতীয়তাবাদ ছাড়া রাষ্ট্রের কল্যাণ হতে পারে না । তাই কমিউনিস্ট আন্দোলন থেকে ১৯৯২ সাল ৬ই ডিসেম্বর একাত্বমানবতা বাদের পক্ষে ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগ দিলাম । সিঙ্গুর আর নন্দী গ্রাম আন্দোলন আর রাজ্যে বুদ্ধদেবের স্বৈরাচারী শাসনের অবসানের প্রয়োজনে মা মাটি মানুষের আন্দোলনকে সমর্থন করেছিলাম । ২০১১তে মমতা ব্যানারজি নেতৃত্বে ৩৪ বছরের জগদ্দল পাথর সরিয়ে রাজ্যে প্রতিষ্ঠিত হয় মা মাটি মানুষের সরকার ।
৫ বছর পর ২০১৬ সালে বাংলার মানুষ রাজ্যে ক্ষমতায় ফিরিয়ে এনেছেন । সি পি এম আজ মতাদর্শ ত্যাগ করে রাহুল গান্ধির সাথে পুস্প বন্ধনে আবদ্ধ ।
অন্য দিকে আমার জীবনে রইল ১৯৬৬ থেকে ২০১৬ অনেক আনন্দ দুঃখ বেদনার কাহিনী । তা একে লিখে রেখে যেতে চাই ।
এর মধ্যে সব চেয়ে বড় আঘাত আসে অনিল ঘোষের কাছ থেকে যে আমার বাস্তু ভিটা টি দখল করে বসে আছে গায়ের জোরে । যে গ্রামে জন্মেছি সেখানের এক প্রতিবেশির কাছ থেকে এরকম ব্যবহার পাব আশা করিনি ।
শনিবার, ৫ মার্চ, ২০১৬
সুরেন্দ্র স্মৃতি মন্দির : একটা ভাবনার জন্ম ।
সুরেন্দ্র স্মৃতি মন্দির : একটা ভাবনার জন্ম ।:
আমার স্বপ্ন , সুরেন্দ্র স্মৃতি মন্দির গড়ে তোলা , এক আশ্রমিক পরিবেশে জীবনের বাকি দিন গুলি পার করে দেওয়া আর রয়েছে এক আদর্শ বৃদ্ধাশ্রম গড়ে তোলা । দীর্ঘ সময় রাজনীতি করেছি ১৯৬৬ থেকে ১৯৯২ কমিউনিস্ট রাজনীতি তার পর জাতীয়তাবাদী রাজনীতি । এই সুদীর্ঘ জীবনে অভিজ্ঞতার ভাণ্ডারে জমা আছে সুখ দুঃখ আনন্দ কান্নার ইতিহাস । সেসব ভুলে আমি নতুন পথে চলতে চায় । জাননগরের মাটিতে আমার জন্ম । আমার ছোট কেটেছে এখানে । সুন্দর আম , জাম , কাঁঠাল ,পেয়ারা , আমড়া , লেবু গাছ , বেদানা গাছে বাগানে ভরা । আর বিভিন্ন স্বাদের আমের গাছ ভরা বাগান ।
আমার স্বপ্ন , সুরেন্দ্র স্মৃতি মন্দির গড়ে তোলা , এক আশ্রমিক পরিবেশে জীবনের বাকি দিন গুলি পার করে দেওয়া আর রয়েছে এক আদর্শ বৃদ্ধাশ্রম গড়ে তোলা । দীর্ঘ সময় রাজনীতি করেছি ১৯৬৬ থেকে ১৯৯২ কমিউনিস্ট রাজনীতি তার পর জাতীয়তাবাদী রাজনীতি । এই সুদীর্ঘ জীবনে অভিজ্ঞতার ভাণ্ডারে জমা আছে সুখ দুঃখ আনন্দ কান্নার ইতিহাস । সেসব ভুলে আমি নতুন পথে চলতে চায় । জাননগরের মাটিতে আমার জন্ম । আমার ছোট কেটেছে এখানে । সুন্দর আম , জাম , কাঁঠাল ,পেয়ারা , আমড়া , লেবু গাছ , বেদানা গাছে বাগানে ভরা । আর বিভিন্ন স্বাদের আমের গাছ ভরা বাগান ।
তার মাঝে বিরাট আট চালা টিনের বিরাট বাড়ি । গ্রামে হিন্দু মুসলিম সবাই এক সাথে বসবাস । সবাই এক সঙ্গে মিলে মিশে থাকত । আমাদের গ্রামে গোয়ালা প্রধান । আমি আমার কর্মজীবন শেষে এক নতুন ভাবনা নিয়ে সেখানে শুরু করতে চলেছি আমার স্বপ্নের কর্মসুচি "সুরেন্দ্র স্মৃতি মন্দির "
আপনাদের আশীর্বাদ ও সহ যোগিতা আমার স্বপ্ন পুড়ন হক ।
যুগল কিশোর ঝা
শুক্রবার, ৪ মার্চ, ২০১৬
শনিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬
শুক্রবার, ২২ জানুয়ারী, ২০১৬
সোমবার, ১৮ জানুয়ারী, ২০১৬
DIGITAL INDIA: constitution is to secure its people justice socia...
DIGITAL INDIA: constitution is to secure its people justice socia...
কৃষক আন্দোলনের ইতিহাসে সিঙ্গুর ।
কৃষক আন্দোলনের ইতিহাসে সিঙ্গুর ।
বাক চর্চা : নয়া ইস্তাহার : Singur Solution
বাক চর্চা : নয়া ইস্তাহার : Singur Solution: নয়া ইস্তাহার : Singur Solution : The statement has read out by the governor Gopalkrishna Gandhi in the presence of Mamata Banerjee, Buddhade...
নয়া ইস্তাহার : SINGUR KISAN STRUGLE IN WEST BENGAL
নয়া ইস্তাহার : SINGUR KISAN STRUGLE IN WEST BENGAL: A woman has been lying hungry and many days buts no one titening to her compllains. ...
সিঙ্গুর কৃষক বাংলার কৃষক আন্দোলনের ইতিহাসে এক ঐ তিহাসিক ঘটনা যা বাংলার রাজনীতি একটি মাইল স্টোন । কৃষি আমাদের ভিত্তি , শিল্প আমাদের ভবি শত শ্লোগান দিয়ে হুগলীর বহু ফসলী জমি নির্মম কেড়ে নিয়ে ট্যাটা দের দেবার পর সিঙ্গুরে গড়ে ওঠে এক কৃষক আন্দোলন ।
সিঙ্গুর কৃষক আন্দোলনের পাতা থেকে ।
মমতা ব্যানারজি ও সিঙ্গুর
সিঙ্গুর কৃষক বাংলার কৃষক আন্দোলনের ইতিহাসে এক ঐ তিহাসিক ঘটনা যা বাংলার রাজনীতি একটি মাইল স্টোন । কৃষি আমাদের ভিত্তি , শিল্প আমাদের ভবি শত শ্লোগান দিয়ে হুগলীর বহু ফসলী জমি নির্মম কেড়ে নিয়ে ট্যাটা দের দেবার পর সিঙ্গুরে গড়ে ওঠে এক কৃষক আন্দোলন ।
সিঙ্গুর কৃষক আন্দোলনের পাতা থেকে ।
মমতা ব্যানারজি ও সিঙ্গুর
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)